• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯

ক্যাম্পাস

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দুই বছর পূর্ণ করেছেন অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন

  • ''
  • প্রকাশিত ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

কুমিল্লা প্রতিনিধি: 

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দুই বছর পূর্ণ করেছেন অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষে কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাজ্যের র্স্টার্লিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি এবং অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে পোষ্ট ডক্টরাল ডিগ্রি লাভ করেন।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগে ২২ বছর এবং অস্ট্রেলিয়ার দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ বছর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা নিয়ে ড. মঈন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালনের দুই বছরের অভিজ্ঞতা ও অর্জন নিয়ে কথা বলেছেন। 


আমি যোগদানের সাথে সাথে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি লিডিং ও মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ শুরু করি। আমি সর্বপ্রথমেই “উদ্ভাবনে নেতৃত্ব, সমাজের ক্ষমতায়ন, উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা, মানব কল্যাণ, সম্প্রদায়কে সমৃদ্ধকরণ এবং টেকসই প্ল্যানেট গঠনের” অঙ্গীকার নিয়ে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি ভিশন তৈরী করি । 


এই ভিশন অর্জনের জন্য গত দুই বছরে নিরলসভাবে কাজ করে আমি অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করি, যার ফলশ্রুতিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক সফলতা অর্জন করেছে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার ইমেজ বৃদ্ধি করতে সমর্থ হয়েছে ।

আপনার সদয় জ্ঞাতার্থে আমি কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং অর্জন গুলো উল্লেখ করছি:

১। গবেষণা ও আন্তর্জাতিক জার্নাল এ মানসম্পন্ন প্রবন্ধ প্রকাশনায় উদ্ধুদ্ধ করার জন্য মর্যাদাসম্পন্ন ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড ও স্বীকৃতি চালু করা।  বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আয় থেকে অর্জিত তহবিলের অর্থ দিয়ে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয় । বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সম্ভবতঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ই সর্বপ্রথম, যারা ভর্তি তহবিলের অর্থ দ্বারা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানসম্পন্ন গবেষণা ও প্রকাশনায় প্রণোদনা দিয়েছে।  ২০২২-২৩ অর্থ বছরে এই অ্যাওয়ার্ড ১৭ জন শিক্ষক কে প্রদানের মাধ্যমে শুরু হয়।  এর ফলে শিক্ষকদের মধ্যে, বিশেষ করে প্রারম্ভিক ও মধ্যম পর্যায়ের শিক্ষকদের মধ্যে মানসম্পন্ন গবেষণা ও প্রকাশনার প্রতি উৎসাহ ও অর্জন বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছর ৫২ জন শিক্ষক ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড এর জন্য আবেদন করেন। এখানে উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ২৬২ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন।  বিশ্ববিদ্যালয়ের এই তহবিল থেকে শিক্ষকদের প্রকাশনার জন্য Editorial Support সহ বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য IELTS, GMAT ইত্যাদি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য একবার রেজিস্ট্রেশন ফিস প্রদান করা হয়।


২। একইভাবে, মানসম্পন্ন গবেষণা ও প্রকাশনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানের বিদেশি প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা হয়। এই লক্ষ্যে ২০২৩ সালে BCSIR, এবং মালয়েশিয়ার Sunway University ও UNIMAS এর সাথে বিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে MOU স্বাক্ষরিত হয়।  তাছাড়া, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক একাডেমিক কনফারেন্স ও সেমিনার এর আয়োজন ও অংশগ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি করা হয়।

৩। গবেষণা বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আগ্রহ বৃদ্ধির জন্য ভর্তি পরীক্ষা থেকে অর্জিত আয়ের অর্থ দিয়ে মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথমবারের মত মর্যাদাপূর্ণ ভাইস চ্যান্সেলর বৃত্তি চালু করা হয়।  বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আমরাই প্রথম এই ধরনের বৃত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করি, যার লক্ষ্য হচ্ছে “মেধা” ও “অন্তর্ভুক্তীকরণ” কে প্রমোট করা।  আমরা দুই বছরে ৭০৩ শিক্ষার্থীকে এই বৃত্তি প্রদান করি।  শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগানো ছাড়াও জাতীয় পর্যায়ে এই বৃত্তি প্রদান ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে এবং অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।


৪। একইসাথে, শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ২০২৩ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আয় থেকে স্পোর্টস বৃত্তি প্রচলন করা হয়। ষোল জন খেলোয়াড়কে বৃত্তি প্রদান করে এই বৃত্তি প্রদান কার্যক্রম শুরু করা হয়।  তাছাড়া, নারী শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় অংশগ্রহনে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মত ছাত্রীদের জন্য ক্রিকেট, ভলিবলসহ বিভিন্ন খেলাধুলার সংস্কৃতি প্রচলন করা হয় ।  নারী শিক্ষার্থীদের জন্য আমার মেয়াদের প্রথম বছরে ক্রিকেট প্রতিযোগিতার আয়োজন শুরু করা হয়, এবং এর সাথে ২০২৩ সালে ভলিবল প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়।  এছাড়াও, খেলার মাঠের উন্নয়ন ও স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয় যাতে করে আমাদের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার মানোন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যায়।  আপনারা জেনে খুশি হবেন যে এই ধরনের সুবিধাদি নিশ্চিত করার জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এই প্রথম আমরা আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হকি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছি। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের নিয়মিত চর্চা, উন্নতি ও প্রসারের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়।

৫। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতোপূর্বের দীর্ঘ সেশনজট হ্রাস করতে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে একটি একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের নিয়মিত অনুপস্থিতির কারণে সৃষ্ট সেশনজট নিরসনে শিক্ষকদের ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিতি ও পাঠদানকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় আনা হয়।  আমি নিয়মিতভাবে শ্রেণীকক্ষ ঘুরে দেখা ও মনিটরিং করার ফলে শিক্ষকদের ক্লাসে অনুপস্থিতি এখন শূন্যের কোঠায়। এই সকল কারণে গত দুই একাডেমিক সেশনে কোনো জট সৃষ্টি হয়নি।

৬। যে সকল শিক্ষক উচ্চতর ডিগ্রি করার পরেও দেশে ফিরে আসেননি, কিন্তু বিদেশে থেকে পদ ধরে রাখার কারণে এখানে শিক্ষক সঙ্কট তৈরি হয়েছে তাদের ৮ জনের কাছ থেকে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা বাবদ ১.৫৮ কোটি টাকা ফিরিয়ে এনে পদগুলো শূন্য করতে সমর্থ হয়েছি।  এই ধরনের সরকারি অর্থ আদায়ের ঘটনা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের প্রথম এবং বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অতন্ত বিরল।  ঐ শূন্য পদগুলোতে বিধি অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

৭। স্বাস্থ্যকর ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার জন্য তিন ধরনের বর্জ্যের জন্য তিন রঙের (লাল - সাধারন বর্জ্যের জন্য, হলুদ - রিসাইকেল বর্জ্যের জন্য, এবং সবুজ - কম্পোস্ট এর জন্য) অপসারণযোগ্য বিন স্থাপন করা হয়।  তাছাড়া নিজেদের ব্যবস্থাপনায় নিয়মিতভাবে মশক নিধন করে মশাবিহীন ক্যাম্পাস ও শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে নিয়মিতভাবে কাউন্সেলিং প্রদানসহ র‍্যাগিং এর বিরুদ্ধে সচেতনতা ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।  এছাড়া, নান্দনিক ও নিরাপদ ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার মাধমে শিক্ষার অনুকূল ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়। প্রাইভেট সেক্টরের সহায়তায় মেডিকেল সেন্টারে আধুনিক উপকরণ ও ঔষধ সংগ্রহ করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবা দানের জন্য রাত ৮টা পর্যন্ত সেবা চালু রাখার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

৮। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি ‘স্মার্ট ক্যাম্পাস’ প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায়ে আমি শুরু থেকে  আন্তরিকতার সাথে এবং নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা ইতোমধ্যে সর্বক্ষেত্রে অটোমেশন (ডি-নথি, ওয়েবসাইট, অ্যাপ, ইআরপি, ক্যাম্পাস এরিয়া নেটওয়ার্ক, পেমেন্ট গেটওয়ে) সেবার ব্যবস্থা শুরু করেছি।  এর মাধ্যমে কাঙ্খিত “স্মার্ট বাংলাদেশ” গঠনে ভূমিকা রাখতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সামনের সারিতে রয়েছে।

৯। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করি।  যেমন, দুর্নীতিমুক্ত প্রকিউরমেন্ট ও অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ ও টেন্ডার বাণিজ্যের সংস্কৃতি বন্ধ করা হয়।  দায়িত্ব গ্রহণের পরে ৯০-৯৫% প্রকিউরমেন্ট টেন্ডার প্রক্রিয়া ইজিপি এর মাধ্যমে সম্পাদনের ব্যবস্থা করেছি। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে আমিই সর্বপ্রথম গুণগতমানহীন আসবাবপত্র সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের টেন্ডার বাতিল করাসহ স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ না করায় জরিমানা আরোপ করি।  এর ফলে আমার দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম বছরে সকল উন্নয়ন কার্য সম্পাদন করে অতিরিক্ত ৮০ লক্ষ টাকার উন্নয়ন ব্যয় করার পরেও আমি ইউজিসি কে ৩.১৪ কোটি টাকা ফেরত প্রদান করতে সমর্থ হই যা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম ঘটনা।  কর্মকর্তাদের কর্মস্থলে উপস্থিতি নিশ্চিত করা ও তাদের কর্মের গতিশীলতা বৃদ্ধি এবং তাদের পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গিসহ সেবা প্রদান করার জন্য প্রফেশনাল প্রশিক্ষণ চালু করা হয়।  তাছাড়া, তাদের কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য ও ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৩ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সর্বপ্রথম শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান শুরু করি।

১০। দায়িত্ব গ্রহণের পরে ৬ মাসের মধ্যে দুর্নীতির কারণে ২০১৪ সাল থেকে চলমান স্থবির একটি উন্নয়ন প্রকল্প কঠোর পরিশ্রম করে সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করি। তাছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান চলমান অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পটি ২০১৮ সালে গৃহীত হলেও নানা জটিলতায় তা অগ্রসর হচ্ছিল না ।  আমি দায়িত্ব নেয়ার চার মাসের মধ্যে ভূমি গ্রহণের বাধা দূর করে ভৌত অবকাঠামোর কাজ শুরু করি। বর্তমানে প্রকল্পটি দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

১১। এই সমস্ত নানবিধ পদক্ষেপের কারণে গত দুই বছরে নানা সূচকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দৃশ্যমান।  যেমন, এখন গুচ্ছ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষ পর্যায়ে অবস্থান অর্জনে সক্ষম হয়েছে।  বৈশ্বিক AD ইনডেক্স এর গবেষকদের তালিকায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেখানে মাত্র ৫ জন শিক্ষকের সংখ্যা ছিলো, তা এই দুই বছরে ১৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৯০ জনে উন্নীত হয়েছে।   তাছাড়া, আমি যোগদানের পূর্বে ‘এপিএ’তে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৪৬ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪২তম ছিলো, যা আমি দুই বছরে ১০ম স্থানে উন্নীত করেছি।  এই বছর ‘এপিএ’তে আমি শীর্ষ ৫ এর মধ্যে অবস্থানের অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করছি। তাছাড়া, স্পেন-বেইজড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবম্যাট্রিক্স গ্লোবাল র‍্যাংকিংয়ে দুই বছরে আমরা কয়েকশ ধাপে উন্নীত হয়েছি।  সামগ্রিকভাবে, জাতীয় পর্যায়ে আজ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় একটি ভালো ইমেজের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে ।

১২। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে এলাকার জনগোষ্ঠীর সম্পর্ক দুর্বল ছিলো। এই কারণে আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের অবাঞ্ছিত ঘটনার শিকার হত।  আমি জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য বিজয় দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে এলাকার দরিদ্র জনগনের জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকদের সহায়তায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প গঠন করি এবং ১,০০০ এর অধিক প্রান্তিক জনগণকে সেবা প্রদান করার ব্যবস্থা করি।  এই ধরনের কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে এলাকার জনগোষ্ঠীর সম্পর্ক বৃদ্ধি সহ জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে ।মানবকল্যানের জন্য গৃহীত এই কার্যক্রমের মাধ্যমে আমি একটি Meaningful কাজ করতে পেরেছি বলে বিশ্বাস করি।

১৩। মানসম্মত উচ্চশিক্ষা হওয়া উচিৎ গঠনমূলক, অর্থপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও জীবনব্যাপী।  এই দর্শনে বিশ্বাস রেখে আমি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিপ লার্নিং, অথেনটিক লার্নিং, এক্সপেরিয়েন্টিয়াল লার্নিং এবং ক্রিটিকাল থিংকিংয়ের বিকাশে কাজ করে যাচ্ছি। আমি শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক ও ক্লাসরুমের বাইরে আজীবন শেখার আবেগকে জাগিয়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা বিশ্বের সাথে অভিযোজন করতে পারবে এবং নিজেদেরকে নেতৃত্বস্থানীয় পদে প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে জাতীয় ও বৈশ্বিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য সম্পদ হিসেবে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads